এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন, তা নিয়ে বিরামহীন আলোচনা চলছে। এ আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন আলোচিত-বিতর্কিত ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে যে পরিমাণ ডেলিগেট দরকার, ট্রাম্প তা শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারবেন বলে দলের অনেকেই মনে করেন না।
মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দলীয় মনোনয়ন-প্রক্রিয়ার বাছাইপর্বের পর জাতীয় সম্মেলনে প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়। আগামী জুলাইয়ে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের বাছাইপর্বে ট্রাম্প এককভাবে ১ হাজার ২৩৭টি ডেলিগেট সংগ্রহ করতে পারলে সম্মেলনে তাঁর মনোনয়নপ্রাপ্তি নিশ্চিত হতে পারে। বাছাইপর্বে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ট্রাম্পকে বিভক্তির সম্মেলনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। বাছাইপর্বে ট্রাম্পের সংগ্রহে এ পর্যন্ত ৭৪৪টি ডেলিগেট রয়েছে।
বিতর্কিত ভাবমূর্তির জন্য খোদ রিপাবলিকান পার্টির ভেতরে ট্রাম্পের ব্যাপারে বিরোধিতা রয়েছে। বিরোধীরা চান, বাছাইপর্বে ট্রাম্প বিপাকে পড়ুন। সে ক্ষেত্রে দলের জাতীয় সম্মেলনে গণেশ উল্টে দেওয়া সম্ভব হবে। এত সব হিসাবনিকাশের মধ্যেও ট্রাম্প চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করেন কেউ কেউ। ট্রাম্পকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে লড়ছেন সিনেটর টেড ক্রুজ ও গভর্নর জন কেইসিক।
কাল মঙ্গলবার থেকে পরের বাছাইপর্বগুলোতে ট্রাম্প যদি বাজিমাত করতে পারেন, তবে ক্রুজ ও কেইসিকের স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার হিসাব জটিল। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে প্রধান দুই দলের ডেলিগেট সংগ্রহের ব্যবস্থাও ভিন্ন। বিশ্লেষকেরা এখন জটিল নির্বাচনী অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত। আর প্রার্থী বাছাইয়ের হিসাব মেলাতে সাধারণ ভোটাররাও খাচ্ছেন হিমশিম। সব অঙ্ক আর বিরোধিতাকে তুড়ি মেরে ট্রাম্পই কি রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পাবেন, নাকি তাঁকে ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে—এই প্রশ্ন সর্বত্র ঘুরপাক খাচ্ছে এখন।